মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাঠে বর্তমানে ইরি-বোরো ধানের সবুজ সমারোহ।
উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে দিগন্ত জুড়ে ইরি-বোরো ধানের সবুজ রঙে ভরা মাঠ। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করায় কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন পর্যন্ত হানা না দেয়ায় উপজেলায় ইরি-বোরো ধানে সবুজে ভরা মাঠে এখন দোল খাচ্ছে ধানের গাছ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৫শত ৫৪ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া ও সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছেন মাঠ পর্যায়ে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আলোক ফাঁদে এবং বোরো ক্ষেতে পার্চিং দিয়ে পোকা নিধনে কৃষকদের উৎসাহিত করায় রোগবালাই এ বছর কম দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ধানে শীষ আসতে শুরু করেছে।
উপজেলার কল্পবাস গ্রামের কৃষক মোঃ খলিল জানান, আমি চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কোনো ধরণের দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ধানের ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি। কাটা-মাড়াই মৌসুমে ধানের দাম ভালো পেলে কিছুটা লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহবুুবুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পর্যবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপসহকারি কর্মকর্তারা কৃষকের সাথে ধান ঠিক রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page